আমার উপরোক্ত মতবাদকে অনেকে বলছে ‘মুজিববাদ’। এ দেশের লেখক, সাহিত্যিক কিংবা ঐতিহাসিকগণ আমার চিন্তাধারার কি নামকরণ করবেন সেটা তাঁদের ব্যাপার, আমার নয়।

আমার উপরোক্ত মতবাদকে অনেকে বলছে ‘মুজিববাদ’। এ দেশের লেখক, সাহিত্যিক কিংবা ঐতিহাসিকগণ আমার চিন্তাধারার কি নামকরণ করবেন সেটা তাঁদের ব্যাপার, আমার নয়।
বঙ্গবন্ধু যদি বাংলাদেশের সূর্য হোন, বঙ্গতাজ বাংলাদেশের চাঁদ! বঙ্গতাজ বঙ্গবন্ধুর আলোয় উদ্ভাসিত।
বঙ্গবন্ধু তার দীর্ঘ ৫৫ বছরের জীবনে বিভিন্ন সময়ে অনেক অবিস্মরণীয় উক্তি দেন।
৩১ মার্চ বঙ্গবন্ধু কে গোপনে সামরিক বিমানে করে লাহোরের ৮০ মাইল দূরের লায়ালপুর শহরের মিনওয়ালি কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়
নিকোলাস ফ্লামেলের পরশপাথরের ছোয়ায় যেমন ধাতু স্বর্ণ হয়েছিল। আব্রাহাম ইলিয়েৎসারের অমৃত সুধা অথবা হলি গ্রেইল পেয়ালায় পানি পান করে যেমন অমরত্ব লাভ করা যেত তেমনি বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন সেই পরশপাথর যার ছোয়ায় সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশ।
“বাংলাদেশকে জানার আগে বঙ্গবন্ধুকে জেনে নিও।তাকে জেনে তারপর তোমার যুক্তিতর্ক,দর্শন,মনস্তত্ত্ব দিয়ে জনগণের কল্যাণে রাজনীতিতে অংশ নিও।
মনে রেখ এই ভূখন্ডের মানুষ যতদিন বাংলায় কথা বলবে,নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিবে,অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে,শোষিতের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করবে ততদিন বঙ্গবন্ধু থাকবে স্বমহিমায়।প্রজন্মকে ছেলে ভুলানো গল্প শিখিয়ে তাকে ইতিহাসের পাতা থেকে মুছে ফেলতে পারবেনা”
-শার্টের পকেটে পাওয়া এই চিরকুটটায় তার শেষ স্মৃতি।
মুজিববাদ অমর হোক
মুজিববাদ সহজ কথায় বলতে গেলে মুজিবের জীবন দর্শন,রাজনৈতিক দর্শন এর সম্মিলন যে দর্শনের উপর ভর করে মুজিব বাঙালি জাতিকে এক সুরে গেঁথে ফেলে স্বাধীনতা সংগ্রামে লিপ্ত ও স্বাধীন করতে সক্ষম হয়েছিলেন বাংলাদেশকে।
বঙ্গবন্ধু জেনারেল ওসমানীকে মুক্তিযুদ্ধ প্রারম্ভ হবার আগে থেকেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের দায়িত্ব অর্পণ সমন্ধে প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীর বক্তব্য, সাক্ষাৎকার এ প্রসেঙ্গ উপস্থাপন জরুরি। ১৯৭২ সনের স্বাধীনতা দিবসে পূর্বদেশের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে […]
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবন কে গুরুত্ব দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র,ভারত, ফ্রান্স, তুরস্ক তার স্মরণে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে।জাতির জনকের নামে আমরা বাংলাদেশে অসংখ্য স্থাপনা দেখতে পাই,আমাদের দেশের প্রেক্ষপটে অত্যান্ত সাধারণ ঘটনা ।কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বঙ্গবন্ধুর নামে বিভিন্ন স্থাপনা, জাদুঘর, ভাস্কর্য, রাস্তা দেখতে পাওয়া যায়। এটা প্রকৃত অর্থে বঙ্গবন্ধুর বৈশ্বিক গ্রহণযোগ্যতার স্বরূপ।বঙ্গবন্ধু জীবিত অবস্থায় দেশের সীমা পরিসীমা ছড়িয়ে আন্তজার্তিক পরিমণ্ডলে নিজের অবস্থান যথেষ্ট শক্তিশালী ভাবমূর্তি গড়তে সক্ষম হয়েছিলেন।